টি শার্ট এর ব্যবসা বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় ব্যবসা। আমরা সকলেই জানি যে
বাংলাদেশের গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি অনেক বড়। গার্মেন্টস শিল্পের জগতে
বাংলাদেশ শীর্ষস্থানীয় একটি দেশ। যার কারণে বাংলাদেশের মানুষ গার্মেন্টস
আইটেম নিয়ে ব্যবসা করতে বেশি আগ্রহী। আর গার্মেন্টস আইটেমগুলোর মধ্যে টি
শার্ট একটি উল্লেখযোগ্য আইটেম। সুতরাং টি শার্ট এর ব্যবসা খুব লাভজনক একটি
ব্যবসা। তবে বর্তমান সময়ে টি শার্টের ব্যবসা করতে নেমে লোকসান করে ব্যবসা
গুটিয়ে ফেলেছেন এমন লোকের সংখ্যা কম নয়। আজ আমরা আলোচনা করব টি শার্ট
ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন? কিভাবে অন্যদের থেকে ভিন্ন ভাবে থেকে টিকে
থাকবেন? এ ব্যবসায় কিভাবে লোকসান হতে পারে? লোকসান থেকে বাঁচার উপায় কি? কত
টাকা পুঁজি হলে টি শার্টের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন?
প্রথমেই আসি
কিভাবে টি শার্ট ব্যবসা শুরু করবেন তা নিয়ে। স্টক লট বা পাইকারি ক্রয় করে
পাইকারি বা খুচরা আকারে অনলাইন অথবা অফলাইনে বিক্রি করতে পারেন। এক্ষেত্রে
প্রথমে টি শার্ট ক্রয় করার পর সেগুলো মডিফাই করে নিতে পারেন।
আবার আপনি নিজেই অর্ডার দিয়ে গার্মেন্টস থেকে টি শার্ট বানিয়ে নিতে পারেন। তবে প্রথমে নিজে অর্ডার দিয়ে না বানানোই ভালো।
আপনি সলিড কালার অর্থাৎ এক কালারের টি শার্ট কিনে সেগুলো প্রিন্ট করে বিক্রি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে স্টক লটের টি শার্ট না কিনাটাই ভালো হবে। কারন এগুলিতে অনেক সমস্যা থেকে। তবে স্টক লটের পন্য ক্রয় করার আগে দেখে নিবেন সেগুলোর কত পার্সেন্ট পন্য ভালো। কারন স্টক লটের পন্যে সমস্যা থাকে। তবে সব পন্যে সমস্যা থাকে না। এটাই আগে দেখে নিবেন যে কি পরিমাণ পন্য ভালো আছে।
আপনি
স্টক লটের বিকল্প হিসেবে ১০০% এক্সপোর্ট কোয়ালিটি ফ্রেস অর্ডার করা সলিড
কালারের টি শার্ট ক্রয় করতে পারেন। । এসব প্রডাক্টের দাম একটু বেশি পড়ে ।
যাই হোক দেখে বুঝে টি শার্ট কিনবেন। তারপর আপনি চাইলে সেগুলো খুচরা বা
পাইকারিভাবে বিক্রি করতে পারেন। আবার প্রিন্ট করেও বিক্রি করতে পারেন।
প্রথম
আপনি ২ রকম টি শার্ট দিয়ে শুরু করতে পারেন। একটা হল প্রিন্টেড অর্থাৎ
প্রিন্ট সহ টি শার্ট আর আরেকটি হল সলিড কালার অর্থাৎ প্রিন্ট ছাড়া এক
কালারের টি শার্ট। আর সলিড কালার টি শার্টের মধ্যে সাদা আর নেভি ব্লু রঙের
টি শার্ট নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এগুলোর চাহিদা বেশি। বাংলাদেশে প্রিন্টেড
টি শার্টের চাহিদা প্রচুর। তাই আপনি প্রিন্টেড টি শার্টের ব্যবসা করতে
পারেন।
আপনি প্রথম ২০০ প্রিন্টেড টি শার্ট কিনবেন। এগুলো ১২০ থেকে
১৫০ টাকা/পিস দরে পেয়ে যাবেন। আর এগুলো ২০০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি করবেন।
সলিড কালার টি শার্ট এর দাম প্রিন্টেড টি শার্টের দাম থেকে কম থাকে। যেমন
সাদা সলিড কালার টি শার্ট এর দাম ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে। অন্যান্য
কালারের দাম একটু বেশি ।
এবার আসি টি শার্ট ব্যবসা শুরু করতে কি পরিমান পুঁজি প্রয়োজন।
টি
শার্টের ব্যবসা সাধারণত ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা হলেই শুরু করতে
পারবেন। আপনি যদি চান ৫-৬ হাজার টাকায়ও টি শার্টের ব্যবসা শুরু করতে
পারেন। আসলে টি শার্ট ব্যবসায় পুঁজির পরিমান নির্ভর করে আপনার ব্যবসার
পরিধির উপর। আপনি যদি পুরো আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন কত টাকা
পুঁজি প্রয়োজন হতে পারে।
কোথা থেকে টি শার্ট কিনবেন?
টি
শার্টের পাইকারি মার্কেট হিসেবে গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া মার্কেট মোটামুটি
বিখ্যাত। ফুলাবাড়িয়ার সিটি প্লাজা ( ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট ২) এর ২য় তলায়
অনেকগুলো টি শার্টের দোকান পাবেন। এছাড়াও গুলিস্তান আরও অনেক টি শার্টের
পাইকারি মার্কেট পাবেন। টি শার্টের পাইকারি মার্কেট হিসেবে বঙ্গবাজারের
খ্যাতি কম নয়। আবার নিউমার্কেটেও কম দামে টি শার্ট বিক্রি করা হয়।
টঙ্গীবাজারেও টি শার্টের পাইকারি মার্কেট আছে। সেখানে টি শার্টের হোলসেল
মার্কেটও আছে। তবে টঙ্গিতে যদি এক্সপোর্ট কোয়ালিটির টি শার্ট খুঁজেন তাহলে
আশরাফ সেতু শপিং কমপ্লেক্স এ যেতে পারেন। নারায়ণগঞ্জে ২নং রেইলগেটে পাইকারি
টি শার্ট এর অনেক দোকান আছে। আপনি যদি আরও কমদামে টি শার্ট চান তাহলে
নারায়নগঞ্জের রিভারভিউ মার্কেটে যেতে পারেন।
তবে আপনি চালাক না হলে
এসব মার্কেট থেকে টি শার্ট ক্রয় করে লাভ করতে পারবেন না। সে জন্য আমি
আপনাদের একটি সরাসরি ফ্যাক্টরির সন্ধান দিচ্চি। সরসরি ফ্যাক্টরি থেকে আপনি
পাইকারি দামে বেশী পরিমাণে এক কালার টি শার্ট ক্রয় করতে চাইলে Haque Textile এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এক্সপোর্ট ফেব্রিক্স দিয়ে তৈরি ভালো কোয়ালিটির টি শার্ট সরবরাহ করে থাকেন তারা।
হক টেক্সটাইল
ফ্যাক্টরি: মৃধা বাড়ি, ডেমরা রোড, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা
০১৯৩১১২৫৭২৭, ০১৫৯০০৩৬৫৬৩
Website: Haque Textile